জগন্নাথপুরে বন্যায় ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তা অল্প মেরামতে : যান চলাচল শুরু
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৩ আগস্ট ২০২০, ৩:২১ অপরাহ্ণসুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল সড়কে ভেঙ্গে যাওয়া রাস্তাটি মেরামত করা হয়েছে। প্রথম দফা বন্যায় সড়কে নিচে দিয়ে পানি চলাচল করায় রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। দফায় দফায় বন্যায় তিন বার চেষ্টা করার পর অবশেষে স্থানীয় দুই যুবলীগ নেতা চেষ্টায় রাস্তাটি মেরামত করা হয়েছে। স্বল্প আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, রানীগঞ্জ দক্ষিণপাড়-রৌয়াইল সড়কে পানি চলাচলের জন্য ছোট ছোট পাইপ ব্যবহার করা হয়। গত বছরও এ সড়কে বন্যায় পানিতে সড়কের কিছু অংশ ভেঙ্গে যায়। পরে এলজিআইডি থেকে সড়কটি মেরামত করা হয়। এবার গতবারের অংশের পাশে নোয়াগাঁও হাজী রফিক মিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের রোডে বন্যার পানিতে রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। শুরু হয় অত্র অঞ্চলের জনসাধারণের দূভোর্গ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা রাস্তার উপরে সাকোঁ দিয়ে চলাচল করেন। সড়কটি ভাঙ্গার পর স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সড়ক মেরামত এগিয়ে আসলেও স্থানীয় দায়িত্বশীলরা এগিয়ে আসেন নাই বলে অভিযোগ শুনা যায়। বিশেষ করে সড়কটি ভাঙ্গায় কিছু মানুষ মাছ ধরায় মেতে উঠেন।
চরম ঝুঁকির মধ্যের পড়ে নোয়াগাঁও গ্রামের আলোর বাতিঘর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। অবশেষে নোয়াগাঁও গ্রামের কৃতি সন্তান ও সুনামগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য মমরাজ হোসাইন রাজ ও আলমপুর গ্রামের বাসিন্দা জগন্নাথপুর উপজেলা যুবলীগের সহ সম্পাদক দিদার আহমদ সুমনের চেষ্টায় ভাঙ্গা সড়কের উপরে বস্তা ও বালি মাটি দিয়ে মেরামত করা রাস্তায় স্বল্প আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে।
এর মধ্যে তিন বার ভাঙ্গা সড়কটি মেরামতের চেষ্টা করা হলে পানির স্রোত বেশি থাকায় সড়কটি মেরামত করা সম্ভব হয় নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অত্র অঞ্চলের জনসাধারন জানান, জনগুরুত্বপুর্ন এ রাস্তায় ছোট ছোট পাইপ দিয়ে পানি চলাচল করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যেক বছর এ পাইপ গুলো এ অঞ্চলের জনসাধরনের কাল হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় নেতাবর্গ সহ সকলের মিলে এ সমস্যাটা দুর করলে হয়ত আগামীতে এ ধরনের সমস্যায় পড়তে হবে না। বিশেষ করে রাস্তা আমাদের এটা টিকিয়ে রাখার দায়িত্ব সকলের এ বিষয়টি সকলে বুজা দরকার। রাস্তা ভাঙ্গার সাথে সাথে যদি সকল মিলে কাজে যোগ দিতেন তাহলে এই দূভোর্গ পোহাতে হত না।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগ নেতা দিদার আহমদ সুমন বলেন, বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা কালেকশন করে আমি ও মমরাজ হোসেন রাস্তাটি নিমার্ণ করেছি। আমাদের অভিভাবক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আকমল নানা একটি বরাদ্ধ দিবেন বলে আশ^াস দিয়েছেন। সকলের সহযোগিতায় পরপর তিন বার কাজ করে রাস্তাটি নিমার্ণ করেছি। পানি নামার সাথে সাথে আরো কাজ করানো হবে।
এ ব্যাপারে জেলা যুবলীগ নেতা মমরাজ হোসেন রাজ বলেন, ইউনিয়ন অফিসের সহযোগিতায় আমি ও যুবলীগ নেতা দিদার আহমদ সুমনের চেষ্টায় বিভিন্ন স্থান থেকে টাকা কালেকশন করে পর পর তিন বার বাঁধ বেধেঁ অল্প আকারে যান চলাচল শুরু হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহেদী হাসান বলেন ভাঙ্গা রাস্তাটি পরিদর্শন করেছি। রাস্তাটি কাজ দ্রুত মেরামত করা হবে। ভাঙ্গা রাস্তাটি পূর্নাঙ্গ কাজ হয়ে যাবে।