চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৭ জুলাই ২০২০, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণপ্রিয় হবিগঞ্জবাসী, আপনারা জেনে আনন্দিত হবেন, আমরা ৮ জনসহ চুনারুঘাটের আরো কয়েকজন প্রবাসীর সম্মেলিত উদ্যোগে প্রথমে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুকে) ”চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপ’ নামে একটি সামাজিক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করি। যার মাধ্যমে দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা চুনারুঘাট উপজেলার সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডসহ আর্ত-মানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে আসছি। সংঘটনটি একটি আহ্বায়ক কমিটির মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে আসছে।
পর্যায়ক্রমে নীতিমালা প্রনয়নসহ পুর্নাঙ্গ কমিটি হওয়ার কার্যক্রম চলছিল। করোনার কারণে বর্তমানে আমাদের সাংগঠনিক কর্যক্রম অনলাইনের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। সর্বশেষ গত ২৭/০৫/২০ ইং কার্য পরিচালনা পরিষদের অনলাইন মিটিংয়ে সকল নেতৃবৃন্দকে নিয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে সংগঠনের আহ্বায়ক মীর নিজাম উদ্দিনের কাছে বিগত দিনের কর্মকান্ড,দাতা সদস্যদের আর্থিক অনুদান ও বর্তমানে ফান্ডে থাকা টাকার হিসাব চাওয়া হলে তিনি তা দিতে অস্বীকার করে অনলাইন মিটিং থেকে বের হয়ে যান। উল্লেখ্য, (ইতিপূর্বেও তার কাছে কয়েক দফা হিসাব চাওয়া হয়।
কিন্তু তিনি হিসাব দেই দিচ্ছি বলে সময় অতিবাহিত করেন)। এমতাবস্থায় সংগঠনের ঐতিহ্যের কথা চিন্তা করে উপস্থিত সদস্য সচিব, যুগ্ম আহ্বায়ক ও দাতা সদস্যের একতৃতীয়াংশের সিদ্ধান্তক্রমে মীর নিজাম উদ্দিনকে সংগঠন থেকে বহিস্কার করা হয়।
পরবর্তী আলোচনায় কোন সমাধান না হওয়ায় সংগঠনের নামে থাকা ফেসবুক, মেসেন্জার গ্রুপসহ অনলাইনের যাবতীয় কার্যক্রম বিলুপ্তি ঘোষনা করা হয়।
কিন্তু মীর নিজাম উদ্দিনের কাছে সংগঠনের অনলাইন কর্যক্রমের যাবতীয় আইডি,পাসওয়ার্ড থাকায় সে সংগঠনের সদস্য সচিবসহ যুগ্ম আহ্বায়কদের গ্রুপ থেকে বের করে দেয়। সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে , কতিপয় দুষ্কৃতিকারী অর্থলোভী ও সংগঠনের টাকা আত্মসাতকারী লোকদের নিয়ে গ্রুপটি পরিচালনা করেছে। বর্তমানে মীর নিজাম উদ্দিন বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের নামে আর্থিক অনুদান তুলে তা আত্মসাত করছে। সে একজন প্রতারক ও অর্থ আত্মসাতকারী। সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে মিথ্যা,বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে আমাদের নামে সম্মানহানীর চেষ্টা করছে। বর্তমানে ”চুনারুঘাট প্রবাসী গ্রুপে’র কার্যক্রমের সাথে আমরা কেউ জড়িত না। এমতাবস্থায় এই সংঘটনের নামে যদি কোন আর্থিক অনুদান তুলা হয় বা কোন প্রকার লেনদেন করা হয় এতে আমরা নিম্ন সাক্ষরকারীগন দায়ি নই।
সদস্য সচিব ও ৭ জন যুগ্ম আহ্বায়ক- সদস্য সচিব মোঃ মুহিবুর রহমান,যুগ্ম আহ্বায়করা হলেন, ফয়সাল আহমেদ, সাজিদুর রহমান জুমেন, হোসাইন আহমেদ মির্জা, তোফাজ্জল হোসেন সেলিম জমাদার, মোঃ সিরাজ, মীর রাজিব ও মোঃ কামাল ফারভেজ।
১৭ জন দাতা সদস্যেরা হলেন, মোঃ সুহেল তরফদার, শেখ শাহীন, আব্দুল কাইয়ুম, সুলতান সালাউদ্দিন, মোঃ ফয়সল মিয়া, শেখ হারুন,কামরুল হাসান লিটন, আব্দুল মালেক মনির আব্দুল নুর, আব্দুল হান্নান,ইমন মিয়া, আল-আমিন রাজ, মোঃ কাউছার, সুলতান আহমেদ, মোঃ ইদ্রিস পাঠান, মোঃ এনামুল হক,আরমান হুসেন সোহাগ। ১৭ জন সাধারন সদস্যেরা হলেন,কাউছার তরফদার, রাসেল আহমেদ, আল আমিন জমাদার, সুমন তালুকদার, কাউছার আহমদ,নিছার আহমেদ, হাবিব উল্লাহ, মকলিছুর রহমান, ফারুক মিয়া, ডালিম মিয়া, হিরন খান,রুবেল মিয়া,গিয়াস উদ্দিন, মোঃ বিল্লাল মিয়া, মোঃ কাওসার, মোঃ উস্তার মিয়া ও
মোঃ ফয়সাল মিয়া।