গ্রীসে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত নবীগঞ্জের মমিনের ঘর নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ হলনা
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১২:৫৮ পূর্বাহ্ণগত মঙ্গলবার ভোর রাতে কোনো এক সময় ইউরোপের দেশ গ্রীসের আসপোগিরগো এলাকায় দুর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হন নবীগঞ্জের আব্দুল মমিন ও শাহীন মিয়া। এমন ঘটনায় মমিনের পাকাঘর নির্মাণের স্বপ্ন পূরণ হলনা।
নিহত হওয়ার আগে ঘর নির্মাণের টাকা দেশে পাঠানো কথা ছিল নিহত মমিনের। কিন্তু এমন ঘটনায় সবকিছু উল্টেপাল্টে গেছে। স্বজনদের আর্তনাদে এলাকায় শোকের ছাঁয়া নেমে এসেছে।
জানা যায়, পরিবারের মুখে হাসি ফুটাতে ও পরিবারের স্বচ্ছলতা ফেরাতে গত ১৪ বছর পূর্বে প্রবাসে যান হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বড় ভাকৈর ইউনিয়নের কামড়াখাই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আব্দুল মমিন (৪০)। ইরান থেকে তুরষ্ক হয়ে গ্রীসে ১০বছর ধরে বসবাস করছেন আব্দুল মমিন ।
গত শনিবার দেশে থাকা আব্দুল মমিনের বন্ধু মস্তান মিয়ার সাথে পাকাঘর নির্মাণের ব্যাপারে মোবাইল ফোনে কথা হয়। মমিন জানায়, রবি-সোমবার দেশে টাকা পাঠাবে। টাকা পাঠানো জন্য আব্দুল মমিন দেশে থাকা বন্ধু মস্তান মিয়ার ব্যাংক এর হিসাব নাম্বারও নেন। কিন্তু ঘর নির্মানের স্বপ্ন পূরণ হলনা মমিনের। মঙ্গলবার ভোর রাতে কোনো এক সময় ইউরোপের দেশ গ্রীসে দুর্বৃত্তদের গুলিতে খুন হয়েছেন নবীগঞ্জের এই দুই র্যামিটেন্স যোদ্ধা আব্দুল মমিন ও শাহীন মিয়া । গ্রীসের রাজধানী এথেন্সের আসপোগিরগো এলাকায় এ ঘটনাটি ঘঠে। গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ১১টার দিকে গুলিবিদ্ধ মরদেহগুলো উদ্ধার করে গ্রীস পুলিশ। নিহত দু‘জনই দু’জনই নবীগঞ্জ উপজেলার এক গ্রামের বাসিন্দা।
এই হত্যাকান্ডের খবরে নিহতের বাড়িতে চলছে স্বজনদের শোকের মাতম। ছেলের শোকে নিহতের পিতা মাতা অচেতনপ্রায়। অশ্রুসিক্ত নয়নে অপেক্ষায় আছেন কখন ছেলের লাশ বাড়ি ফিরবে।
এ ব্যাপারে আব্দুল মমিনের বন্ধু মস্তান মিয়া বলেন, আমার বন্ধু মমিন দেশে ঘর নির্মাণের জন্য টাকা পাঠানোর কথা ছিল, সে আমাকে বলেছিল আমি যাতে রাজমিস্ত্রী,বালু ইট-সিমেন্ট এর জন্য বলে রাখি। তার কথা অনুযায়ী আমি রাজমিস্ত্রী ও দোকানে ইট-বালু-সিমেন্টের কথা আমি আলাপও করি কিন্তু মঙ্গলবার শুনতে পেলাম তাকে কে বা কারা গুলি করে হত্যা করেছে, আমি আমার বন্ধু হত্যার বিচার চাই, আর লাশ যাতে দেশে দ্রুত পৌছাঁয় সেজন্য সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনি আরও বলেন, নিহত মমিন ও শাহীন দুজনই অসহায়,মমিনের ২ ছেলে ১ মেয়ে তারা এখন একেবারে অসহায় হয়ে পড়েছে এই ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে যাতে সরকার সহযোগীতা করে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।