গ্রিসে বাংলা বর্ষবরণ উৎসবে বাঙালি সাজে বিদেশিরা
মতিউর রহমান মুন্না
প্রকাশিত হয়েছে : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২:১০ পূর্বাহ্ণগ্রিসের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গনে চলছিল বাংলা বর্ষবরণ ১৪৩১ উদযাপন উৎসব। সকাল থেকেই অনুষ্ঠানে জড়ো হন কয়েক শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি। বিকেলে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে হাজির হন গ্রিকসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। বিদেশি নারী-পুরুষ ও কিশোর কিশোরী বেশ কয়েকজন উপস্থিত ছিলেন উৎসবে।
এ সময় দেখা যায় বাঙালি সাজে উৎসবে শামিল হন দুই গ্রিক নাগরিক। পরনে পাঞ্জাবি ও দু‘হাতে মেহেদি। বৈশাখী উৎসবে তারা হয়ে যান বাঙালির সঙ্গে একাকার। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে পরিচয়ের সঙ্গে সঙ্গে এক তরুন বাংলা ভাষায় বলেন- ‘কেমন আছেন ভাই, শুভ নববর্ষ।
ওই দুই গ্রিক তরুন জানান, তাদের বাংলাদেশি বন্ধু মহিমার আমন্ত্রণে তারা পাঞ্জাবি ও হাতে মেহেদি দিয়ে বাঙালির সাজে এসেছেন। বাঙালির নববর্ষকে রঙিন করে তুলতে তারা বৈশাখী সাজে সেজেছেন বলে জানান।
তারা বলেন- বাংলাদেশি খাবার ও বাংলাদেশি সংস্কৃতি তাদের খুব ভালো লাগে। তাই তারা বৈশাখি উৎসেব গিয়েছেন। উৎসবে বাংলা গান ও নৃত্য এবং বাংলা সংস্কৃতি উপভোগ করছেন। প্রথমবার পাঞ্জাবি পরে খুব ভালো লেগেছে। পাঞ্জাবি খুবই আরামদায়ক বলেও অনুভতি প্রকাশ করেন তরুনরা।
স্মৃতির ফ্রেমে বাঙালির উৎসবকে ধরে রাখতে উৎসবে ফটোসেশন করেন বিদেশিরা।
উল্লেখ্য, গত শনিবার এথেন্সে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের আয়োজনে দূতাবাস প্রাঙ্গনে মঙ্গল শোভা যাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বাংলাদেশি খাবার উৎসবের সাথে দিনব্যাপী বৈশাখী মেলা উদযাপন করা হয়। এতে বাংলাদেশি নারী-পুরুষ ও শিশুরা লোকজ ও বৈশাখী পোষাকে সজ্জিত ছিলেন। হাতে মেহেদি ও বাঙালী পোষাকের সাজে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন বিদেশি নাগরিকরাও।
গত শনিবার সকাল থেকেই এথেন্সের বাংলাদেশ দূতাবাস প্রাঙ্গণে বৈশাখী আলপনা, নববর্ষের সাজসজ্জাসহ বাংলাদেশি ঐতিহ্যবাহী সাজে সজ্জিত করা হয়। নারী-পুরুষ সবাই বৈশাখি পোষাকে সজ্জিত হন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা বেশ কয়েকটি স্টলে বাংলাদেশি খাবার, শাড়ি ও অলংকার সামগ্রী এবং আলপনা সহকারে বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তোলেন।
বৈশাখী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সদস্যবৃন্দ এবং শিশু-কিশোররা বৈশাখী ও লোকজ সংগীত, কবিতা, নৃত্য ইত্যাদি পরিবেশন করেন। শত শত নারী-পুরুষের আগমনে কলকাকলিতে মুখরিত হয় দূতাবাস এবং সৃষ্টি হয় এক বর্ণিল মনোরম পরিবেশের। মেলায় আগমনকারীরা বিভিন্ন স্টলে বাংলাদেশি পণ্য দর্শন এবং বাংলাদেশি খাবারও আস্বাদন করেন। বাংলার ঐতিহ্যবাহী ঢেঁকি, গ্রামীণ বাংলার বৈশাখী আবহে স্টলসহ দূতাবাস প্রাঙ্গণ হয়ে ওঠে এক টুকরো বাংলাদেশ।
দূতাবাসের কর্মকর্তারা প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাথে নিয়ে নতুন বছরে বর্ণিল সাজে সজ্জিত ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে বর্ণাঢ্য মঙ্গল শোভাযাত্রা করেন। বিপুল উৎসাহে প্রবাসী বাংলাদেশিরা বাদ্যযন্ত্র সহকারে এ শোভাযাত্রায় অংশ নেয়।