কোমর বেঁধে মাঠে আ’লীগ, সংশয় স্বতন্ত্র প্রার্থীর

জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৪ অক্টোবর ২০২০, ১২:৫০ অপরাহ্ণ
মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ উপনির্বাচন আগামী ২০ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। পুরো জেলায় ১৫টি কেন্দ্রে ৯৪৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
এদিকে জেলা পরিষদের উপনির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। বিজয়ের মালা পরতে রাত-দিন জেলার একপ্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দৌড়েও সুবিধা করতে পারছেন না তিনি। জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে বিএনপি বা অন্য কোনো দলের প্রার্থী না থাকায় একই ঘরানার স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এমএ রহিম (সিআইপি)। তবে নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা ব্যক্ত করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা।
ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে চশমা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন মিছবাহুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে রয়েছেন এমএ রহিম (সিআইপি)।
জানা যায়, গত জেলা পরিষদ নির্বাচনে শাসক দল, বিরোধী দল, স্বতন্ত্র এবং বিদ্রোহী প্রার্থীরা নির্বাচনী মাঠে খেলেছেন। এবার তার ব্যতিক্রম। আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেতাকর্মীদের সমন্বয়ে কমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন।
সকাল থেকে দুপুর, জেলার এক প্রান্ত থেকে অন্যপ্রান্তে দৌড়াচ্ছেন ভোটারদের ধারে ধারে। রাত কিংবা দিন মিলে বিশ্রাম নেই তার। মাঠপর্যায়ে ৬৭ ইউনিয়ন, ৫ পৌরসভা ও ৭ উপজেলার সব পর্যায়ের নেতাকর্মীরাও কাজ করছেন।
এ নিয়ে সদর, কুলাউড়া ও রাজনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের একাধিক ভোটারদের সঙ্গে কথা হলে তারা নিরপেক্ষ ভোট নিয়ে সংশয়ের কথা ব্যক্ত করেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ রহিমের অভিযোগ, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কর্মীরা জেলার বিভিন্ন স্থানে আমার পোস্টার ও বিলবোর্ড ইতিমধ্যে ছিঁড়ে ফেলছেন। আমার নেতাকর্মীদের প্রচার চালাতে দেয়া হচ্ছে না।
প্রকাশ্যে টেবিলে ব্যালেট পেপার রেখে ভোট দেয়ার কথা বলছেন ভোটারদের। অন্যতায় ওই ভোটারকে কেন্দ্রে ঢোকতে দেয়া হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়গুলো সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও জেলা নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানিয়েছি।
জেলা আইন শৃঙ্খলা সভায়ও আলোচনা করেছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন দেখতে পারছি না।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মিছবাহুর রহমানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি আজমল হোসেন বলেন, টেবিলে রেখে ভোট দিতে হবে এ ধরনের কথা ভোটারদের আমরা কখনও বলিনি। তবে এলাকায় আমাদের সংগঠনের কেউ বলে থাকলে এটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার।
এটি দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া বিশ্বাস করি এবং সেই আলোকেই ভোট হবে। ভোটে শক্তি প্রয়োগ করার কোনো প্রশ্নই উঠে না। ভোটের মাধ্যমেই জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে।
এ বিষয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, উভয় প্রার্থীই পরস্পরের বিরুদ্ধে লিখিত ও মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগগুলো আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও বিষয়টি অবগত করা হয়েছে।
তবে অভিযোগের সঙ্গে কেউই কোনো প্রমাণাদি জমা দিতে পারেননি। তবে নিরপেক্ষ ভোটগ্রহণের বিষয়ে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট মৌলভীবাজার জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি শূন্য হয়।
