ওসমানীনগরে সড়কে ১৩ দিনে ১২জনের প্রাণহানি
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১৬ আগস্ট ২০২০, ৭:১৮ অপরাহ্ণসিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর উপজেলার অংশে সড়ক দুর্ঘটনা ও লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে । প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা এতে সড়কেই বিলিন হচ্ছে মানুষের স্বপ্ন । অকালে ঝরে পড়ছে তাজা প্রাণ। দুর্ঘটনার শিকার হয়ে অনেকেই চির দিনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করে শয্যাশায়ী হয়ে জীবন পার করছেন। সম্প্রতি ক্রমেই সড়ক দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় মানুষজন উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।
যানবাহন চলাচলে গতিসীমার নির্দেশনার আইন থাকলেও মাহাসড়কের ওসমানীনগর অংশে তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠেছে। গেল ১৩ দিনে মহাসড়কটির ওসমানীনগর অংশে ১২ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
এদিকে, মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ কাগজ নিয়েও দূরপাল্লার বিলাসবহুল যানবাহনগুলো চলাচল করছে। এসব গাড়ির চালকদের অধিকাংশই লাইসেন্সধারী নয় বলে অভিযাগ ওঠছে। অনেক চালকই আবার ছোট গাড়ির লাইসেন্স দিয়ে বড় ও দূরপাল্লার গাড়িগুলো চালিয়ে আসছেন বলেও জানা গেছে। দুর্ঘটনার পর দূরপাল্লার গাড়ির অভিযুক্ত চালক ও মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হলেও আইনের ফাঁকে তারা অনায়াসেই পার পেয়ে যাচ্ছেন।
মহাসড়কে হাইওয়ে পুলিশের যথাযথ তদারকি না থাকা, তিন চাকার অটোরিকশার চলাচল, ভাঙ্গা সড়কে দীর্ঘদিন ধরে কোন সংস্কার কাজ না করা নিয়ে জনমনে ক্ষোভের শেষ নেই।
জানা গেছে, সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশ যেন মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে। কারোনা মাহামারির কারণে লকডাউন থাকায় দূরপাল্লার যান চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ঘটনা কমে এসেছিল। যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় ওসমানীনগরে সড়ক দুর্ঘটনাও বৃদ্ধি পয়েছে। মহাসড়কের ওসমানীনগরে অংশে বড় বড় সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যাও বেশি। গত ১৩ দিনের ব্যবধানে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের ওসমানীনগর অংশে দুর্ঘটনায় নারী ও শিশুসহ নিহত হয়েছেন ১২ জন। এর মধ্যে দুই পরিবারেরই ৯ জন ছিলেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী যাত্রীবাহী মামুন পরিবহন বাস (ঢাকা মেট্রা-ব ১৪- ৯৮৪৮) সিলেট-মহাসড়কের গজিয়া গ্রিন বার্ড কিন্ডারগার্ডেন এর সামনে শেরপুরগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশা (মৌলভীবাজার -থ ১১-৩৬৯১)-কে চাপা দেয়। অটোরিকশাটি দুমড়েমুচড়ে যা। এসময় একই পরিবারের ৪ জনসহ ৬ জন নিহত হন।
এর আগে গত ৩১ জুলাই সকালে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপজেলার বরায়া চাঁনপুর নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের ৫ জনসহ ৬ জন নিহত হন।
শেরপুর হাইয়য়ে থানার ওসি মো. এরশাদুল হক ভূইয়া ‘জাগো নিউজ’কে- বলেন, হাইয়য়ে পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে প্রচারণা চালানো হচ্ছে, তিনি বলেন, আঁকাবাঁকা রাস্তা ও সার্ভিস লেন না থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এছাড়া যানবাহনে ওভার স্পিডের মামলা না দেয়ায় চালাকরাও বেপরোয়ভাবে গাড়ি চালাচ্ছেন। আমরা তাদের সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি।
ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকরতা (ওসি) শ্যামল বণিক ‘জাগো নিউজ’কে- বলেন, মহাসড়কের দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের উপর ন্যাস্ত। তারপরও মানবিক কারণে ওসমানীনগর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।