এমসি কলেজে তরুণী ধর্ষণ : অধরা অভিযুক্তরা
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ১০:৩১ পূর্বাহ্ণসিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে স্বামীকে বেধে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণ করে রক তরুণীকে। এঘটনায় রাতভর অভিযান চালিয়েও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগের তীর ছাত্রলীগ কর্মীদের দিকে।
জাগো নিউজের অনুসন্ধানে ও পুলিশের সুত্র বলছে
ধর্ষণেই ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা ও কলেজটিতে ইংরেজিতে মাস্টার্সে অধ্যয়রত শাহ মাহবুবুর রহমান রণি, এক শ্রেণীতে অধ্যয়নরত ছাত্রলীগ নেতা মাহফুজুর রহমান মাছুম, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, কলেজ ছাত্রলীগ নেতা অর্জুন এবং বহিরাগত ছাত্রলীগ নেতা রবিউল ও তারেক।
এদের মধ্যে সাইফুর রহমানের বাড়ি বালাগঞ্জে, রবিউলের বাড়ি দিরাইয়ে, মাহফুজুর রহমান মাছুমের বাড়ি সিলেট সদর উপজেলায়, অর্জুনের বাড়ি জকিগঞ্জে, রণি হবিগঞ্জের এবং তারেক জগন্নাথপুরের বাসিন্দা।
জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। পরে খবর পেয়ে শাহপরাণ থানা পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।
বর্তমানে ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এক দম্পতিকে আটকে রাখা হয়েছে খবর পেয়েই আমরা এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে যাই। এরপর সেখান থেকে তাদের উদ্ধার করি। পরে ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীকে ওসমানী হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়। এঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
এদিকে এমসি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠিত কলেজে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এমন ঘটনায় দলীয় মদদে ও কলেজ প্রশাসনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে এমন নেক্কার যখন ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবী সকলে