এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে তরুণী ধর্ষণ : জড়িতদের ধরতে সাঁড়াশি অভিযান
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ২:২৯ পূর্বাহ্ণসিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রবাসে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। স্বামীকে বেধে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মীর গণধর্ষণ করব ওই তরুণীকে।
খবর পেয়ে পুলিশ এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গিয়ে ওই তরুণী ও তার স্বামীকে উদ্ধার করে।
শুক্রবার রাত ১০টায় শাহপরাণ থানা পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করে।
অন্যদিকে উদ্ধারের পর থেকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতারে প্রশাসনের সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
জানা গেছে, স্বামীকে নিয়ে ঘুরতে শুক্রবার সন্ধ্যায় এমসি কলেজে গিয়েছিলেন ধর্ষণের শিকার হওয়া ঐ তরুণী। এসময় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে ছাত্রলীগের ৫-৬ জন নেতাকর্মী তাদেরকে জোরপূর্বক কলেজের ছাত্রবাসে নিয়ে যায়। সেখানে একটি কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে তরুণীকে গণধর্ষণ করে তারা। বর্তমানে ঐ তরুণী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শাহপরাণ থানার ওসি কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এই দম্পতি কি জন্য ছাত্রাবাসে ঢুকেছিল সেটি জানার চেষ্টা চলছে। তাদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
সূত্র জানায়, অরক্ষিত ছাত্রাবাসে প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বহিরাগতের আনাগোনার পাশাপাশি অনেকেই মাদক সেবন করেন। সেই সাথে জুয়ার আসরও বসে।
এমসি কলেজের হোস্টেল সুপার জামাল উদ্দিন জানান, শুনেছি কারা স্বামী-স্ত্রীকে আটক রাখে হোস্টেলে। পরে পুলিশ গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। এর বাহিরে তিনি আর কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এমসি কলেজের অধ্যক্ষ সালেহ আহমদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ রয়েছে। তারা বিষয়টি দেখছে। তবে যতটুকু জেনেছি স্বামী-স্ত্রীকে কারা হোস্টেলে আটক করে রেখেছে।
এদিকে এমসি কলেজের মতো প্রতিষ্ঠিত কলেজে এমন ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে।
এমন ঘটনায় দলীয় মদদে ও কলেজ প্রশাসনের খামখেয়ালিপনাকে দায়ী করছেন অনেকেই।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেইসবুকে চলছে নানা আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রাবাসে এমন নেক্কার যখন ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আইনের আওতায় আনার দাবী সকলের।