এডিস মশার উৎসস্থল চিহ্নিতকরণে সিসিকের অভিযান
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২০ মে ২০২০, ৭:৫২ পূর্বাহ্ণনিজস্ব প্রতিবেদক,জাগো নিউজ :
করোনার মধ্যেই এডিস মশার উৎসস্থল চিহ্নিতকরণে অভিযানকরোনার মধ্যেই এডিস মশার উৎসস্থল চিহ্নিতকরণে অভিযান
করোনা মহামারীর মধ্যেই ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় চলছে মশক নিধন অভিযান। পরিচালিত হচ্ছে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম। পাশাপাশি চলছে এডিস মশার উৎসস্থলগুলো চিহ্নিতকরণে বিশেষ অভিযান। এরই মধ্যে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকায় পাওয়া গেছে এডিস মশার লার্ভা।
সিসিকের এডিস মশার উৎসস্থল চিহ্নিতকরণ অভিযানের তৃতীয় ধাপেও নগরীর ২৫ ও ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েক স্থানে মিলেছে এডিস মশার লার্ভা। দক্ষিণ সুরমার ভার্থখলা এলাকায় খোলাস্থানের সিরামিক পণ্য ও টায়ার-টিউবে জমে থাকা স্বচ্ছ পানিতে লার্ভার সন্ধান পায় সিটি করপোরেশন।
এডিস মশার বংশ বৃদ্ধি ঠেকাতে উৎসস্থলের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সর্তক করা হয়েছে।
চলমান করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে, সিলেট সিভিল সার্জন কার্যালয়ের কিট তত্ত্ববিদের সহায়তায় পরিচালিত হচ্ছে।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে এসব স্থানে এডিস মশার লার্ভার সন্ধান পাওয়ার পর সংশ্লিষ্টদের সচেতন হবার পরামর্শ ও মশার উৎসস্থল ধ্বংস করে সিসিক। কিন্তু ব্যবসায়ীরা বেআইনিভাবে খোলা স্থান থেকে সিরামিক পণ্য ও টায়ার-টিউব সরাননি। এসব স্থানে দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার পানি জমে থাকার ফলে ব্যাপক হারে এডিস মশা বংশ বৃদ্ধি করছে।
সিসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, তৃতীয় ধাপের অভিযানেও এসব স্থানে এডিস মশার লার্ভার পাওয়া যাচ্ছে। চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এডিস মশার বংশবৃদ্ধি ঠেকাতে না পারলে ডেঙ্গু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়তে পারে। এ জন্য নগরজুড়ে এডিস মশার উৎস চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি পরিচালিত হচ্ছে মশক নিধন অভিযান।
তিনি বলেন, প্রাতিষ্ঠানিকভাবে চিহ্নিত উৎসস্থলে মশার বংশবৃদ্ধি বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নাগরিকদের সম্ভাব্য উৎসস্থলে ২ থেকে ৩ দিনের বেশি স্বচ্ছ পানি জমে থাকা রোধে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কোথাও এডিস মশার উৎস চিহ্নিত হলে সিসিকের স্বাস্থ্য বিভাগে জানাতে অনুরোধ করেন তিনি।
সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে চলমান কার্যক্রম সার্বক্ষণিক তত্ত্বাবধান করছেন সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বিধায়ক রায় চৌধুরী। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে গত বছর সিলেট সিটি করপোরেশন সফল হয়েছিল। সেই ধারাবাহিকতায় এবারও প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ হাতে নেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।
এদিকে করোনা পরিস্থিতিতে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীকে আরও সচেতন হওয়ার আহবান জানান সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। চলমান সাধারণ ছুটি ও লকডাউনের মধ্যে এডিস মশার সম্ভাব্য উৎসস্থল চিহ্নিতকরণে এবং বংশ বৃদ্ধি রোধে নগরবাসীর সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।
করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ঈদের পর আরও ব্যাপকভাবে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে। নগরবাসীকে সচেতন করে তুলতে করা হচ্ছে মাইকিং, বিতরণ করা হচ্ছে সচেতনতামূলক লিফলেট।
বাসা-বাড়ি, পরিত্যক্ত ভবন, ভবনের ছাদ, ফুলের টব বা বালতি কিংবা ভবনের যেসব স্থানে পরিষ্কার পানি জমে থাকতে পারে, সেসব স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার আহবান জানানো হয়।