ইউনিয়ন পরিষদ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় পতাকার অবমাননা
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২০, ৮:৫৪ অপরাহ্ণলাখো প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের জাতীয় পতাকা । এটি শুধু একপ্রস্থ কাপড় নয়। বিশ্বজুড়ে এটি স্বাধীন সত্ত্বা হিসেবে আমাদের প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ নামক দেশটির পরিচায়ক। ১৯৭১ সালে লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা এবং আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশের সম্মান এবং লাল সবুজ পতাকা। এর সাথে জড়িয়ে আছে ৩০ লক্ষ শহীদ ও ২ লক্ষ নির্যাতিতা মা বোনের সম্মান।
তাই জাতীয় পতাকার মর্যাদা রক্ষা করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও দেশাত্মবোধের পরিচায়ক। কিন্তু এই পতাকার মর্যাদা রক্ষায় আমাদের উদাসীনতা স্পষ্ট। জাতীয় পতাকা কীভাবে ব্যবহার করতে হবে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট আইন থাকা সত্ত্বেও তা প্রতিনিয়ত লঙ্ঘিত হচ্ছে। এতে করে ৩০ লক্ষ শহীদের অর্জন ও সম্মান ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে হর -হামেশা।জেনে হোক বা অজ্ঞতার কারনেই হোক জাতীয় পতাকার অবমাননা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জাতীয় পতাকার বিধিমালা অনুযায়ী সূর্যাস্তের পূর্বে তা নামানোর বিধান রয়েছে।
কিন্তু এরই উল্টো চিত্র দেখা যায় লাখাই উপজেলার ১ নং লাখাই ইউনিয়ন পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদ লাগোয়া হাজী করিম হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গত ২রা সেপ্টেম্বর ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে ১ দিনের রাষ্ট্রীয় শোকের অংশ হিসেবে সারাদেশের সরকারি, বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। এরই অংশ হিসেবে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠান দুইটি পতাকা উত্তোলন করলেও তা সূর্যাস্তের পূর্বে নামানোর ব্যবস্থা করেনি । রাতে পতাকা উড়তে দেখে জনসাধারণের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দেয়। কলেজের ছাত্র মামুন মিয়া জানান, এর পূর্বে ও ইউনিয়ন পরিষদ একই কাজ করে। উল্লেখ্য, বিগত ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বরে বিজয় দিবস উপলক্ষে ইউনিয়ন পরিষদের উত্তোলনকৃত পতাকা ৩ দিন পর নামানো হয়েছিল স্থানীয় সাংবাদিক সানি চন্দ্র বিশ্বাসের সহায়তায়।
এ ব্যাপারে লাখাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আইয়ুব রেজা ইমরানের সাথে ‘জাগো নিউজ- এর পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায় ।
পরে গ্রাম পুলিশ সাধন সরকার ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি আল আমিন মিয়ার মাধ্যমে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পতাকা নামানো হয়।