ইউএনও’কে দেখে বাল্য বিয়ের অনুষ্ঠান রূপ নিলো মিলাদ মাহফিলে !
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২৯ অক্টোবর ২০২০, ৩:৩১ অপরাহ্ণশায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রীর বাল্য বিয়ে বন্ধ করেছে উপজেলা প্রশাসন। একই সাথে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না বলে উপজেলা প্রশাসনের কাছে মুছলেকা দিয়েছেন পিতা। অনুষ্ঠান চলাকালে প্রশাসনের উপস্থিতি দেখে বিয়ে বাড়ি রূপ নিলো মিলাদ মাহফিলে। মেয়ের বাবা ও স্থানীয় মুরব্বীরা বলেন বিয়ে না এখানে মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে। পরে প্রশাসনের বিয়ে অনুষ্ঠানের কথা স্বীকার করে মেয়ের পরিবার।
বৃহস্পতিবার(২৯ অক্টোবর) সকাল ১১টায় উপজেলার নছরতপুর গ্রামে স্কুল ছাত্রীর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭’ অনুযায়ী বিয়ে বন্ধ করে দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মিনহাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- উপজেলার নুরপুর ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামের আব্দুল হাইর পুত্র খোকন মিয়ার সাথে একই গ্রামের মোঃ সফিক মিয়ার স্কুল পড়ুয়া কন্যার বিয়ের দিন তারিখ ধার্য্যছিল ২৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার।
মেয়ে বিয়ের সকল আয়োজন শেষ করেছিলেন সফিক মিয়া। বর পক্ষের লোকজনের জন্য ভুড়িভোজের ব্যবস্থাও করেছিলেন বাড়ির আঙিনা, তবে মেয়েটি অপ্রাপ্ত এমন সংবাদ শায়েস্তাগঞ্জ থানার পুলিশ জানতে পেরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন। পরে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের লোকজন বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন।
মেয়ের বাবা সফিক মিয়া মুছলেকা দিয়ে জেল জরিমানা থেকে রক্ষা পেলেও মেয়ে প্রাপ্ত বয়স না পর্যন্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। মেয়েটি স্থানীয় নূরপুর আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি)অজয় চন্দ্র দেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ সাদ্দাম হোসেনসহ শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশের একটি টিম।
এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ‘‘জাগো নিউজ’’কে বলেন আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলেই যেতেই বাল্য বিয়ে বদলে মিলাদ মাহফিল হয়ে যায়। তারপর আমাদের জিজ্ঞাসবাদে সত্যতা বেরিয়ে আসে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) মোঃ মিনহাজুল ইসলাম বলেন ‘‘জাগো নিউজ’’কে পুরুষের ক্ষেত্রে ২১ ও মেয়ে ১৮ না হলে আইনত অপ্রাপ্ত বয়স্ক। আজকে অপ্রাপ্ত বয়সের একটি মেয়ের বিয়ে ছিল জেনে আমরা আইন অনুযায়ী বন্ধ করেছি। এটি মুলত রাষ্ট্রীয় আইন অক্ষুন্ন রাখা এবং আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখার জন্য আমরা সরকারের এ কাজগুলো করছি।