আজমিরীগঞ্জে পূজায় বরাদ্দ সরকারি চাল গুদামে রেখেই পূজা উদযাপন কমিটির নেতার বাণিজ্য

জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২২ অক্টোবর ২০২০, ৮:৩৮ অপরাহ্ণ
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকারের দেয়া বরাদ্দের চাল গুদামে রেখেই কেনাবেচা করে লাভ গুণে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়ের বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের দুর্গাপূজায় আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ৩৫টি মণ্ডপে ৫০০ কেজি করে মোট ১৭ হাজার ৫০০ কেজি চাল বরাদ্দ আসে। এ চাল বিতরণের ডিও এখনও উপকারভোগীদের নিকট হস্তান্তর হয়নি।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, চলতি বাজারে প্রতি কেজি চালের দাম (মোটা) ৪২ থেকে ৪৫ টাকা। ৪২ টাকার হিসেবে ১৭ হাজার ৫০০ কেজি চালের দাম ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অথচ প্রদীপ ও তার আরেক সহযোগী মৌখিকভাবে ৩৪ টাকা কেজি দরে ৩৫টি পূজা মণ্ডপে ৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বিতরণ করে ফেলেছেন। এখন তারা ডিও হাতে পেলে গুদাম থেকে চাল উত্তোলনের অপেক্ষায়। এ নিয়ে উপকারভোগী পূজারীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পাহাড়পুর কায়স্থহাটি পূজা মন্ডপের দায়িত্বে থাকা একজন বলেন, সরকার থেকে বরাদ্দ পাওয়া চালের বাজার মূল্য কমপক্ষে ২০ হাজার টাকা। কিন্তু নেতৃবৃন্দ আমাদেরকে দিয়েছেন ১৭ হাজার টাকা। বাকিটা তারা ভাগ করে নিয়েছেন।
অভিযুক্ত প্রদীপ রায় বলেন, বরাদ্দ হওয়া চালের মধ্যে আমি কিনেছি নয় টন। বাকিটা নিয়েছেন ওবায়দুর নামে অন্য আরেকজন। প্রতিবারই তারা এমন করে থাকেন বলেও স্বীকার করেছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি জীবন চন্দ বলেন, সাধারণ সম্পাদককে আমি বারণ করেছি। তারপরও তিনি চাল কিনেছেন। পূজা উদযাপন পরিষদ নেতা হওয়া সত্ত্বেও এমন কাজ করা তার ঠিক হয়নি।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ আলী বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে এখনও চালের ডিও হস্তান্তর করা হয়নি। কিন্তু চাল গুদামে রেখেই তার কেনাবেচার বিষয়টি জানতে পেরেছি। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

