হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ যেন বালুখেকোদের দখলে চলে যাচ্ছে দিনে দিনে ৷ বিশেষ করে উপজেলার ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের পাহাড়পুরে সংঘবদ্ধ একটি বালু খেকো চক্রের পৃষ্টপোষকতায় লক্ষ লক্ষ ঘন ফুট উত্তোলন হচ্চে প্রতিনিয়ত ৷ উপজেলা প্রশাসনের নিয়মিত অভিযানে উপজেলার বাকি ইউনিয়ন গুলোতে বালু উত্তোলন বন্ধ থাকলেও পাহাড়পুরে প্রতিনিয়তই উত্তোলিত হচ্ছে বালু ৷
আজমিরীগঞ্জ সদর থেকে পাহাড়পুর যাওয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা খারাপ হওয়ায় প্রশাসনের চোখ ফাকি দিয়ে এই অবৈধ বালু উত্তোলন হচ্ছে হর হামেশাই ৷
স্থা নীয় ভুমি অফিসের দায়িত্বে থাকা তহসিল দার সালামের নীরব ভুমিকা নিয়েও নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে জন সাধারনের মনে ৷
অভিযোগ রযেছে মোটা অঙ্কের উৎকোচের বিনিময়ে বালু উত্তোলন দেখে ও না দেখার ভান করছেন তহসিলদার সালাম ৷ এছাড়া ও শুকনো মৌশুমে নদীর চরা থেকে শত শত ট্রলি বালু মাটি বিক্রি হলেও নীরব থাকেন তিনি ৷
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় পাহারপুর বাজার সংলগ্ন চরহাটী (বাশমহালের) সংলগ্ন বড় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০ হাজার ঘনফুট ধারন ক্ষমতা সক্ষম নৌকা লোড করা হচ্ছে, এবং সেই লোড করা নৌকা নদীর অপর পাড়(সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার) প্রতাপপুরে খালি করা হচ্ছে ৷
এ বিষয়ে স্হানীয় বাসিন্দা রাবেল রায় সহ বেশ কজনের সাথে আলাপ কালে জানাযায় ৪/৫ দিন পুর্বেও ঠিক একই ভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করার সময় স্হানীয়রা বালু উত্তোলনে বাধা দিলে ঐ চক্র স্হানীয়দের সাথে খারাপ আচরন করেন ৷
বৃহঃস্পতিবার সকাল থেকে আবারো শুরু করে বালু উত্তোলন ৷
স্হানীয়রা জানান বালু উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যেই পাহাড়পুর বাজার, মামুদপুর, সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম নদী ভাঙ্গনের মুখে পরেছে ৷
এ বিষয়ে ২ নং বদলপুর ইউনিয়নের তহসীলদার সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন –আমি কি করবো বলেন কখনো বালু উত্তোলন কারীরা বলে সুনামগঞ্জের ইউ এন ও বলেচেন বালু তুলতে, কখনো বলেন আমরা রাষ্টপতির এলার লোক, আমি খবর পেয়ে মেশিন বন্ধ করে তাড়িয়ে দিয়ছি ৷
কিন্তু এই বক্তব্যের ঠিক আধাঘন্টা পরই স্হানীয় এক বাসিন্দা ভিডিও কলের মাধ্যমে ড্রেজার চালু থাকার বিষয়টি সাংবাদিকদের দেখান ৷
এ বিষয়ে আবার তহসীলদার সালামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কথার সুর পাল্টে নেন –তিনি- ’জাগো নিউজ-কে বলেন সুনামগঞ্জের এক ঠিকাদার বালু তোলেন যার দায়িত্বে রয়েছেন পার্শবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল দাস ৷ উনি উনার উর্ধতন কর্মকর্তাকে জানিয়ে আইনি ব্যবস্হা নেননি কেন এই প্রশ্নে তিনি উত্তর এড়িয় যান ৷
এব্যাপারে শাল্লা সাবেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সুবল দাসের মুটোফোনে কল দিলে তিনি কল রিসিভ না করে এক সময় ফোনটি সুইচ অফ করে দেন ৷
এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) উত্তম কুমার দাস বলেন ’জাগো নিউজ-কে বালু উত্তোলনের বিষয়টি আমি শুনেছি ,আমরা তৎপর রয়েছি , বালু উত্তোলন বন্ধে আমরা যথাযথ ব্যাবস্হা গ্রহন করবো ৷