অনলাইনে শুক্রাণু কিনে ‘ই-বেবি’ জন্ম দিলেন নারী
জাগো নিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১, ৫:৩৫ অপরাহ্ণসন্তান পেতে চেয়েছিলেন। তবে শুধু এর জন্যই বাধ্য হয়ে কোনো সম্পর্কে জড়াতে চাননি ৩৩ বছরের স্টেফানি টেলর। সে ক্ষেত্রে উপায় ছিল একটাই—কোনো গর্ভধারণ কেন্দ্রের দ্বারস্থ হয়ে সন্তান ধারণ করা। কিন্তু স্টেফানি সেই পথেও হাঁটেননি। তিনি ইন্টারনেট থেকে শুক্রাণু কিনেছেন। ইউটিউব দেখে সেই শুক্রাণু গর্ভে প্রবেশ করানোর পদ্ধতি শিখেছেন। শেষে ই-বে থেকে কিনেছেন প্রজনন প্রক্রিয়ার দরকারি জিনিসপত্র। তাঁর যুক্তি অনলাইনে যখন সব কিছুই হচ্ছে, তখন সন্তান ধারণেই বা সমস্যা কোথায়!
স্টেফানি ভুল প্রমাণিত হননি। ১০ মাস পরে ফুটফুটে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। কন্যার নাম রেখেছেন ইডেন, যদিও তাঁর কাহিনি শুনে ইডেনের আরো একটি নাম দিয়েছেন পরিচিতরা। সেটি হলো ‘ই-বেবি’।
অনলাইনে লেনদেন, কেনাকাটা বা বার্তা প্রেরণের পদ্ধতিতে ইলেকট্রনিকের আদ্যক্ষর ‘ই’ জুড়ে দেওয়া হয়। স্টেফানির কাহিনি শুনেও অনেকের মনে হয়েছে, এই সন্তানের জন্মের সঙ্গেও ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে অনলাইনের বিষয়-আশয়। তাই ইডেন আসলে ‘ই-সন্তান’।
তবে হঠাৎ গর্ভধারণ কেন্দ্রে না গিয়ে বাড়িতে গর্ভধারণ করেছেন কেন? স্টেফানি জানিয়েছেন, তিনি প্রথমে বিকল্পটি ভেবে দেখেননি তা নয় বরং প্রথম দিকে বেশ
কয়েকটি গর্ভধারণ কেন্দ্রে তিনি যোগাযোগ করেছিলেন। কিন্তু তাদের সন্তান ধারণ করানোর মূল্য এতটাই বেশি যে বিকল্প খুঁজতে বাধ্য হন স্টেফানি।
পাঁচ বছরের এক পুত্রসন্তানের জননী তিনি। দ্বিতীয় সন্তানের চেষ্টা করছিলেন। বিষয়টি এক বন্ধুকে জানাতে তিনিই স্টেফানিকে অনলাইনে শুক্রাণু কেনার একটি অ্যাপের সন্ধান দেন। ওই অ্যাপে শুক্রাণু দিতে ইচ্ছুক ব্যক্তির পরিবার থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসংক্রান্ত সব তথ্যই পাওয়া যায়। স্টেফানি জানান, সেখান থেকেই নিজের সন্তানের জন্য শুক্রাণুদাতা খুঁজে নেন তিনি।
স্টেফানি চেয়েছিলেন তাঁর সন্তান তাঁরই মতো দেখতে হোক। তাই তিনি এমন কাউকে খুঁজছিলেন, যাঁর শারীরিক গঠন তাঁর সঙ্গে মেলে। একই সঙ্গে স্বভাবের দিক থেকেও পরিবারমুখী মানুষ চাইছিলেন স্টেফানি। পছন্দমতো শুক্রাণু দাতা পেতে এক দিন লাগে তাঁর। দুই সপ্তাহের মধ্যেই শুক্রাণু পেয়ে যান স্টেফানি। প্রথম চেষ্টাতেই সফল হন।
স্টেফানি জানিয়েছেন, প্রথমে এ ব্যাপারে তাঁর বাড়ির কয়েকজন সদস্য রাজি না হলেও ইডেনের জন্মের পর তাঁরা খুশি। সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় সন্তানের জন্ম দিতে পেরে স্টেফানিও গর্ববোধ করছেন বলে জানিয়েছেন। সূত্র : আনন্দবাজার।